আমার একলা থাকা রাত

আমার একলা থাকা রাত

রাতগুলো আমার কাছে ভীষণ রকম শুন‍্য আর অসহ‍্য । দিনের ব‍্যস্ততা ভরা সময় গুলো পার হয়ে যায় কিন্তু রাত এসে বড় অস্থির করে তোলে । চারিদিক এখন ভীষণ নিস্তব্ধ । মনে হয় পৃথিবীর কোথাও প্রাণ নেই । আর এরই মধ‍্যে আমি একা জেগে আছি । সবাই কতনা শান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে আছে ; আর আমি আজ ও ঘুমের কাছে ক্লান্ত । কি যে করি আর কিছুই ভালো লাগছে না । কোনো কিছুই আর ভালো লাগাতে পারছি না । কেন যে এভাবে একা একা বেঁচে আছি শুন‍্য আর রিক্ত হয়ে ! এফ .বি টা আর কোনো মতে ভালো লাগাতে পারছি না । জীবনের কত কাজ বাকি আছে অথচ আমি দিন দিন কিছুই করতে পারছি না । কোনো কাজ করতে পারছি না । এ জীবন আমার কাছে অর্থহীন আর নিঃস্ব । কতদিন এভাবে চুপ করে থাকা যায় , কতদিন ? আমি কিচ্ছু জানি না । কাজ হীন এই আমি একা । আমার একলা হওয়া রাত । আমার একলা জাগা রাত ।

ধর্ম , কেন এত বিরোধ ? – ১

ধর্ম , কেন এত বিরোধ ? — ১

ধর্ম নিয়ে কেন যে মানুষের এতো মাতামাতি,কেন যে এতো বিরোধ , আমি তা কিছুতেই বুঝতে পারিনা । ধর্ম নিয়ে কেন যে এতো রেশারেশি , মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব , হিংসা , মারামারি , খুন , যখম , অত‍্যাচার , ধর্ষন , ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া , আরও কত কিছু , ধর্ম নিয়ে মানুষে মানুষে এত দ্বন্দ্ব , গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে দ্বন্দ্ব , কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই হল , তোমার ধর্ম কি ? সঙ্গে সঙ্গেই জবাব – আমি হিন্দু , আমি মুসলমান , আমি খ্রিষ্টান , আমি বৌদ্ধ , আর ও কত কি তার হিসেব করে বলা মুশকিল । মুসলিম হিন্দুকে ঘৃণা করে , হিন্দু মুসলিমকে হিংসা করে । মুসলিমরা হিন্দুদের মেয়েদের ইজ্জত লুঠ করে , ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে তাদের ঘর ছাড়া করে , তাদেরকে মুসলিম করার চেষ্টা করে , নয়তো মেরে ফেলে । আচ্ছা , এতে কি তাদের ধর্ম বড় হয় ? ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি । কিন্তু এ ভাবে কি শান্তি আসবে ? মানুষকে হত‍্যা করে , মেয়েদের ইজ্জত নষ্ট করে ? এ আমি বিশ্বাস করি না । আর এক শ্রেণির অন্ধ আছে যারা হত‍্যা করে মুসলমানদের । আচ্ছা হত‍্যা আর ধর্ষন দিয়ে কি ধর্ম কোনো দিন বড় হতে পারে , না কি পারবে ? ধর্ম অবশ‍্যই পালন করতে হয় ,কিন্তু তাই বলে একে অন‍্যকে এ ভাবে মারপিট , আর হত‍্যা করলেই কি সেই ধর্ম বড় হয়ে যাবে ? আসলে পৃথিবীর যত ধর্ম আছে তার মূল সুর কিন্তু এক । আর তা হল মানুষে মানুষে সহাবস্থান , অর্থাৎ মনুষত্ব । পৃথিবীর প্রত‍্যেকটি ধর্মই শান্তির কথা , সহানুভূতির কথা বলে । কিন্তু যারা ধর্মকে বোঝেনা , ধর্ম কথার মানে বোঝে না তারা কেবল ধর্মের নামেই সব সামাজিক অত‍্যাচার করে । কিছু ধর্মের নাম দিয়ে বেঁচে থাকা মানুষ নিজেকে ধার্মিক জাহির করার জন‍্য মানুষে মানুষে খুনাখুনি বাঁধিয়ে তার নিজের ফয়দা তোলে । আর এক শ্রেণির মানুষ কিছু না বুঝে , শুনে , কেবল তাদের কথা শুনে ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ করে আর মানুষ মারে আর নিজেরাও মরে । আর এই সব করার পিছনে যে সব নেতা তারা কিন্তু কেউ মরে না । বরং তাদের ব‍্যাঙ্ক ব‍্যালান্স , গাড়ি , বাড়ি , খাবার দাবার , আর সামাজিক প্রতিপত্তি দিন দিন ফুলে ফেঁপে ওঠে । তাদের জীবন শান্তিতে কাটে আর যারা এই সব নেতাদের কথা শুনে চলে তারা অকালে তাদের জীবনটা হারায় । আর সব নেতারাই এই চায় । বসে বসে শুধু বদ বুদ্ধি –

29-07-2015

কার সাথে

” কি নিয়ে বিরোধ , কার সাথে ভাগাভাগি ? সীমান্ত , ধর্ম , না কি জাত পাত ? এত হিংসা , অত‍্যাচার , এত মতবাদ , এতে কি এমন আসে যায় ? মানুষের পৃথিবীতে সবাই মানুষ । মানুষকে ভালোবেসে দ‍্যাখো , মানুষের ভালোবাসা পাবে । মানবতাইতো মানুষের ধর্ম । তাকে আশ্রয় করো । আর বাঁচতে শেখো । কাউকে মেরে নয় , কারো ধর্ম কেড়ে নয় , সবাই সবার ধর্ম বাঁচিয়ে । তাহলেই মানবতা বাঁচবে । বাঁচবে আমাদের পৃথিবী । এবং তা আরও সুন্দর করে গড়ে উঠবে । ভরে থাকবে আলো । বিকশিত হবে স্নিগ্ধতা । কাউকে নোংরা করে কিংবা মেরে ফেলে নিজে বড় হওয়া যায় না । অন‍্যকেও মূল্য দিলে তাতে সুন্দরের পথটা আরও সুন্দর হবে , আরও সুগম হবে । এই তো চাই মানুষের কাছে । মানুষ হয়ে জন্মেছো , মানুষের মত বাঁচো ।– দেবাশীষ মল্লিক “

18 – 09 – 2017

এমনটা ভেবে নেবার কোনো কারণ নেই

” মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি হবে এমনটা ভেবে নেবার কোনো কারণ নেই । বরং দেশটা এখনো খরা প্রবন একথা জেনে সাবধানতার সাথে এগিয়ে যেতে হবে । তবেই দেশ কিছুটা সবুজ হবে , ফলবে ফসল , জন্মাবে ঘাস আর দেশ এগিয়ে যাবে প্রগতির পথে , স্বচ্ছতার পথে । আর মানুষ গুলো মানুষ হবে । — দেবাশীষ মল্লিক “

05 – 10 – 2017

ব্যাক্তি এবং সমষ্টি

” ব্যাক্তির থেকে সমষ্টি বড়, অথচ সেই বড়োর আলো আজ আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। আসলেতে আমরা ব্যক্তিগত ভাবনায় এত বেশি মশগুল সেখানে সমষ্টির জায়গা কোথায়? আর তাই আমরা না পারি ঠিক মতন নিজেকে পরিপূর্ণ করতে না পারি অন্যকে তৃপ্ত করতে। প্রত্যেকটি মানুষ আজ একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন। আর বিচ্ছিন্নতা যে কখনোই কোনো কিছুর সমাধান দিতে পারে না তা আমরা সবাই জানি। অথচ তা মানিনা। আর মানিনা বলেই প্রত্যেকটি জীবন বড় বেশি খাপছাড়া আর বেমানান হয়ে বেঁচে যায়। যা দেশ কাল অথবা সমাজ কারোরই কাজে আসেনা। যার ফলে সমাজের এই দুরবস্থা । এবং এর সমাধান একটাই ব্যক্তির মধ্যে দিয়ে, ব্যক্তিত্বের মধ্যে দিয়ে, প্রত্যেকে একে অন্যকে জুড়ে সমষ্টি হয়ে ওঠা। কেবল একজনের ভালোতেই সব ভালো নয়, প্রত্যেকের মধ্যের ভালোটুকু জুড়ে সংঘবদ্ধ ভাবে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা, মানুষ হয়ে ওঠা। – – দেবাশীষ মল্লিক “
24-02-2018

দেশ মানে

” তুমি আমি মানেই দেশ এমনটা যেমন ঠিক, তেমনি আবার ঠিক নয়, তুমি আমি ক’জন? হাতে গোনা সমাজের একটা ভাগ মাত্র । অথচ এর বাইরে যে বৃহৎ পরিবার আছে তার কথা ভাবতে সময় পাইনা। পৃথিবীর প্রায় সমস্ত সম্পদ অল্প কিছু মানুষের হাতে কুক্ষিগত। আর বাকি এই বৃহৎ সমাজ তার হাতের খেলার পুতুল মাত্র । তারা ইচ্ছে করে যেমন ঘোরায় আমরা তেমন করে ঘুরতে আজ বাধ্য । সম্পদের এই অসম বন্টন কেবল আজকের নয়, সেই সু প্রাচীন কাল থেকেই এই ব্যবস্থা, যা আজও চলছে। তাহলে আজ পর্যন্ত আমরা কতটা কি করতে পেরেছি । খুব একটা পেরেছি কি? আমার অন্তত তা মনে হয় না । আমরা কেবল দিনের শেষে ঘুমিয়ে পড়া সূর্যের মতন ম্লান আলোতে স্বপ্ন দেখে বাঁচার লোভ করে গেছি, বাঁচতে পারিনি। এমনকি আজও । বাঁচে তো তারাই যাদের হাতে মাত্রাতিরিক্ত ধন সম্পদ ; সমাজ এবং দেশ যাদের কুক্ষিগত । তুমি আমি দেশ হতে পারিনি আজও । – – দেবাশীষ মল্লিক “

24-02-2018

শৃঙ্খলিত

” সামাজিক ভাবে আজও আমরা সবাই শৃঙ্খলিত। কেউ ইচ্ছের কাছে, কেউ অধিকারের কাছে। কেউ কাউকে আজও ঠিক যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করেনা। অথচ আমাদের মাঝে শিক্ষার অভাব নেই। আজ আমরা বিদ্যালয় এবং সার্টিফিকেট গত ভাবে শিক্ষার তকমা আটা। আমাদের পোশাক আশাকে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বুকের ভেতরটা সেই হিংস্রতায় ভরা। আমরা দিন বদলের সাথে বাইরেটাই শুধু বদলাতে পেরেছি। শিখে নিয়েছি রং বদলের কৌশল বেশ সুনিপুণ ভাবে। – – দেবাশীষ মল্লিক “

24-02-2018

মূল্য

” নিজেকে যদি ভালো রাখতে পারি তাহলে অন‍্যের উপর নির্ভরশীল হওয়াটা মোটেই কাজের কথা নয় । আসলে যদি তুমি নিজেকে নিজেই সামলাতে পারো তাহলে অন‍্য কারো উপর মুখাপেক্ষি হয়ে না থাকাটাই ভালো । তাতে তোমার দক্ষতা বাড়বে । আর এক জন দক্ষ মানুষ মানেই শক্তিশালী । আর পৃথিবীটা শক্তিশালীদের জন‍্য । দুর্বল হয়ে বেঁচে থাকাটা অন‍্যায় । ঘোর অন‍্যায় । সেখানে তুমি তোমার যোগ‍্য মর্যাদা পাবে না । আর মর্যাদা হীনতার থেকে বড় কোনো দুর্বলতা আর নেই । নিজেকে যোগ‍্য করে তোলো । তাহলে বাকি পৃথিবীটা তোমাকে মূল‍্য দিতে বাধ‍্য । — দেবাশীষ মল্লিক “

14-04-2018

উদাসীনতার পথের বাঁকে দাঁড়িয়ে

দেবাশীষ মল্লিক

উদাসীনতার পথের বাকে দাঁড়িয়ে যদি ভাবতে থাকো কি হবে

তাহলে বলি , তুমি বরং ভালোবাসো

ভালোবাসার চাইতে মহৎ কোনো কাজ নেই

হয়তো বাধা আসবে ,

হয়তো মন খারাপ হবে ,

হয়তো সাময়িক দুঃখ পাবে ,

হয়তো মন থেমে যেতে চাইবে

তবুও বলবো তুমি ভালোবাসো

ভালোবাসা হল ইচ্ছে মনের নির্যাস

তার সাথে নিজেকে সম্পূর্ন ভাবো

দেখবে ভালোবাসার আনন্দ পাবে

হয়তো বা ভাবছো ভালোবাসার আনন্দ সে আবার কেমন,

আছে গো আছে

ভালোবাসার মধ‍্যে নির্মল এক আনন্দ আছে । তাকে জানতে শেখো , বুঝতে শেখো , তাহলেই তাকে লাভ করতে পারবে

আর তা লাভ করতে পারলে আর কোনো দুঃখ থাকবেনা

আর এ জীবন ভালোবাসার হবে ।

14-04-2018

তাদের জন্য

” পৃথিবীটা বড়ো হয় শুধু তাদের জন‍্যে যার অর্থের দিপ্তিতে দীপ্তমান । আর যারা সাধারন তাদের দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা দায় । অথচ পৃথিবীতে দিন দিন কত সাজসজ্জা , সাচ্ছন্দের নানান উপ করণ নিয়ে আসে । তাতে উচ্চ বৃত্ত মানুষের বিলাসকে আরও মসৃন এবং মনোরম করে তোলে । আর সাধারণ মানুষ আরও সাধারণ হয়ে যায় । –দেবাশীষ মল্লিক “

30-05-2018