” তোমার স্বার্থপরতা যখন অন্যের কষ্টের কারণ হয় তখন তুমি ভালোথাকতে পারোনা , তখন তুমি ভালোথাকতে পারবেনা । তোমার মন তোমাকে ভালোথাকতে দেবেনা । হয়তো তুমি সাময়িক আনন্দ উল্লাসের মধ্যে থাকতে পারো , কিন্তু তুমি মন থেকে কারো সাথে মিশতে পারোনা , মন থেকে কারো সাথে মিলতে পারোনা । আর মন থেকে মিশতে না পারলে , মেলার সে আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয় না । আর তোমার স্বার্থপরতার জন্য তোমাকে তার মূল্য দিতেই হয় । — দেবাশীষ মল্লিক “
07-08-2018
Author Archives: DEBASISH MALLICK
মানুষকে ভালোবাসো
” সব মানুষকে ভালোবাসো দেখবে তুমি সুখে থাকবে আর তোমার মনে আনন্দ আসবে । — দেবাশীষ মল্লিক “
07-08-2018
তৃপ্তি
” হিংসার মধ্যে দিয়ে তুমি যা কিছু অর্জন করবে দেখবে তাতে তৃপ্তি নেই । তৃপ্তি আসে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই । — দেবাশীষ মল্লিক “
07-08-2018
আধুনিকতা সর্বস্ব জীবনে
” আধুনিকতা সর্বস্ব জীবনে , জীবনের মূল্যবোধ দিন দিন সংকির্ণ থেকে সংকির্ণতম হয়ে যাচ্ছে । মানুষ দিন দিন নেশায় মশগুল । কারো অর্থের নেশা , কারো স্বার্থের নেশা , কারো প্রভাব প্রতিপত্তির নেশা , আবার কারো বা ক্ষমতার নেশা । আর এই নেশায় সে এতটাই মশগুল যে কেবল মাত্র নিজের ছাড়া অন্য আরো কারো দিকে তার নজর নেই । এ আমরা চলেছি কোথায় ? কি মোক্ষম উদ্দেশ্যে , স্বার্থ ছাড়া কেই কাউকে ভালোবাসেনা , স্বার্থ ছাড়া কেউ কারো খবর রাখেনা । কেবল মাত্র নিজের কাজটুকু মেটাতেই সবাই মশগুল , আর এতটাই মশগুল যে মানুষ তার কর্তব্য ভুলে গেছে । ভুলে গেছে ভালোবাসতে । ভালোবাসা হীন একটা পৃথিবীতে বাস করছি আমরা । কেবল স্বার্থ , দ্বন্দ্ব আর আঘাত ছাড়া কিছুই মেলেনা । কেন ? কি আমাদের উদ্দেশ্য , কোথায় আমাদের লক্ষ্য , আর এ সবের দ্বারা আমরা কি পাবো ? কোন ভালো কাজ হচ্ছে আমাদের দ্বারা ? কি করছি , কেন করছি , এসব কথা ভাবলে সবার একই খেয়াল , আরও চাই , আরও পেতে হবে , আরও এগিয়ে যেতে হবে । কিন্তু যে আধুনিকতার বড়াই আমরা করছি তা যে কত ভয়াবহ হচ্ছে তা আমরা খেয়াল করছি না । সামান্য ব্যবধানে বসবাস করেও আমরা কেউ কাউকে চিনিনা , কেউ কারো নামটুকু পর্যন্ত জানিনা । জানিনা , কেননা জানতে চাইনা , সময় নেই । আর তার চাইতেও বড়ো যে বিষয়টা হল জানতে চাইনা । জেনে কি হবে , জেনে কি লাভ ? এই মানসিকতাই আমাদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে । আর সে ধ্বংসের প্রভাব এতটাই ভয়াবহ যা মানুষকে একটি যন্ত্রে পরিনত করছে । আর এই যন্ত্র সভ্যতার যুগে দাঁড়িয়ে আমরা সবাই একটা বিষয়ে , একটা সময় বা স্তর পরে ভালোবাসা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । ভুগছি কারণ , জীবনের সব কিছু করেও , আসল বিষয়টাকে কেউ কিছু করিনা । আর সে না করার ফল সবাইকেই পেতে হয় । আমাদের সেই নির্বুদ্ধিতা আমাদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় , আর আমরা তিল তিল করে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করি । আর মানুষকে ভালো না বাসতে পারার আক্ষেপ নিয়ে মরি । আজ হয়তো কথাগুলো তোমার কাছে অর্থহীন বলে মনে হবে , কিন্তু একদিন তুমিই জানবে বিষয়টা কতোটা সত্যি । সেই দিন আপশোষ হবে জানি , তবুও আজ কিছু করবেনা । করবেনা কারণ আজ তুমি যন্ত্র সভ্যতায় মশগুলো । এতো এতো চাকচিক্যতায় এতটাই মশগুল সত্যিটা সামনে থাকলেও তুমি দেখতে পাবেনা ঠিক । যন্ত্র সভ্যতা স্বাচ্ছন্দ এনে দিয়েছে ঠিকই , কিন্তু তার বদলে কেড়ে নিয়েছে জীবনের অমূল্য সম্পদ ভালোবাসাকেই । আর ধ্বংস করছে মানবতাকেই । — দেবাশীষ মল্লিক “
12 – 08 – 2018
In the life of modern life
” In the life of modern life, the main day of life is going to be selfishness from big to be more big . People are on the day of addiction. The intoxication of someone’s money, the intoxication of someone’s interest, is an addiction to someone’s influence, again the intoxication of someone or power. And in this addiction, he is so much that it is not only a look at the other than myself. This is where we’re gone ? What is in the country, we do not love anyone without interest, no one has the news of anyone without interest. Only my own work is to attend, and it is so much that people have forgotten there duties . Forgot to love. Living in a world of love, we are. Only without interest, conflict and injury does not match anything. Why ? What is our country, where will we get our millions, and what will we get by it ? Any good job is by us ? What are you doing, why do you think that all of these words are the same notice, more want, to get more, to get more forward. But we’re not noticing how much the modernity we are doing. I don’t know anyone who lives in a long lonely , and we don’t know anyone. We don’t know, we don’t want to know. And we don’t want to know what is greater than him. Know what will happen, know what is the benefit ? This retard is pushing us to destruction. And the effect of destruction is so terrible that makes people become a bayonets. And this machine is standing in his era, we are all in one thing, and we are suffering with love and insecurities after a time or layer. Shortness of breath, do everything in life and do not do anything in the real thing. And the fruit of not being able to get everyone. The stupidity of us takes us to the destruction, and we wait for the death of the dead in sesame. And we die with the penance of the people. Today may be the words will seem to be useless to you, but one day you will know what is the truth. We don’t know that day, still do something today. Don’t because today you are in the grace of the instrument. So many of these glitter grace are in front of the truth, you’ll see it right. The machine has brought the probabilities, but it has taken away human’s heart’s incredible wealth. And destroying humanity. — Debasish Mallick “
12 – 08 – 2018
You may be
” You may be rich , you may be have a lot’s of money , you may be have a lot’s of work , you may be busy for all the time to progress , that’s all good no doubt . But if are not able to get one’s heart feeling with love then you are not complete . Some of these above and getting ones love if you can gain then you are doing in the best and you are happy to live happily . All that can grow and lost by time . But if you love someone with your heart and if he / she do his / her job properly and feel greatfull to you , then it goes high day by day and make your proper value . This value is the valuable most and you must be really rich . — Debasish Mallick “
13-08-2018
উন্নতি বড়ই ক্ষণস্থায়ী
” সামাজিকতা অনুসারে কিছু ব্যবস্থা অবশ্যই গড়ে উঠতে পারে । কিন্তু সেই ব্যবস্থার সাথে সাথে যদি দেশজ ব্যবস্থার মিলন ঘটে এবং একে অন্যকে সম্পূর্ণ করে তখন দেশের প্রকৃত উন্নতি ঘটে । কেবল মাত্র আর্থিক ব্যবস্থার প্রসারণ ঘটিয়েই যদি ভাবি উন্নতি লাভ করেছি , তবে সেই উন্নতি বড়ই ক্ষণস্থায়ী হয়ে দেখা দেবে । সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতিই প্রকৃত উন্নতির পথ , অর্থ ব্যবস্থা তাকে সম্পূর্ণতার রুপ দেবার সহায়ক । — দেবাশীষ মল্লিক “
13-08-2018
অনুশাসনের প্রসঙ্গ
” এক এক সমাজে এক এক ধরনের অনুশাসন । কিন্তু যখন দেশের অনুশাসনের প্রসঙ্গ আসে তখন যদি সবাই সেই অনুশাসনের পথকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এবং সেই মতন চলে তাহলে তা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক যা দেশকে শক্তিশালী করে গড়ে । আর যখন এর বিভিন্নতা ঘটে তখন দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে । দেশের মানুষ যদি দুর্বল মানসিকতার শিকার হয় , বিচ্ছিন্ন সামাজিক অনুশাসনের কারণে তবে তা দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে পড়ে । এই ধরনের সামাজিক বিভেদ ঘোচাবার জন্যে চাই সাহস এবং সদিচ্ছা যা প্রকৃত পক্ষে দেশকে , দেশের মানুষকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে আসতে পারে ।– দেবাশীষ মল্লিক “
13-08-2018
স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা মনষ্কতা
” স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা মনষ্কতা দুই সমান গুরুত্বপূর্ণ । কেবল স্বাধীন হলেই চলেনা , স্বাধীন মনষ্কতাও থাকতে হয় । স্বাধীন মনষ্কতাই স্বাধীনতার মূল উপজিব্য । স্বাধীনতা অর্জন করা যেমন কঠিন , সেই স্বাধীনতাকে বজায় রাখাও সমান কঠিন কাজ । আর এই দুই ব্যবস্থার সাথে সাথে অন্য যে ব্যবস্থাটির কথা মনে রাখতে হবে তা হল , সে স্বাধীনতাকে সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া । সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে স্বাধীনতা কোনো দিনও সম্পের্ণ হয় না । যদি স্বাধীন দেশের মানুষের মনে এই প্রশ্ন জাগে – স্বাধীনতা কাদের জন্য , তার মানে তখন বুঝতে হবে , যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তার ফলাফল সাধারণের কাছে এখোনো পৌঁছায়নি । আর দেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে যদি এই প্রশ্ন জাগে , তখন সে খানে স্বাধীনতা থাকে বটে , তবে সেই স্বাধীনতার থেকে সমাজ অনেকটা বিচ্ছিন্ন । আর বিচ্ছিন্নতার সুযোগ যখন কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টি নিয়ন্ত্রন করতে চায় তখন স্বাধীনতার ধার থাকেনা । স্বাধীনতা মানে তো সম্পৃক্তি , একাত্বতা বোধ , এক জাগরণ , এক শৃঙ্খলা । সেই শৃঙ্খলা যখন লঙ্ঘিত হয় , তখন স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হয় । স্বাধীনতা যখন সমাজের কেবল মাত্র একটা বিশেষ শ্রেণির পৃষ্ঠপোশকতা করে তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজের সাধারণ শ্রেণি যখন স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত হয় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজ যখন ধর্মের অনুসাশনে অনুশাসিত হয় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজ যখন ধর্মে ধর্মে বিভক্ত হয় , একে অন্যকে ভয় দেখিয়ে অথবা দমন পিড়ন চালায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজ যখন মানবতার পাঠ ভুলে যায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজে যখন অত্যাচার এবং শোষণ বেড়ে যায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । শাসক যখন শোষণের জন্য চোখ রাঙায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজের উঁচু শ্রেণি যখন নিচু শ্রেণির কথা ভুলে যায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজ যখন দেশের আইনকে আঙ্গুল দেখায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । ন্যায় বিচার যখন অর্থের কাছে হেরে যায় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সমাজে যখন যাত পাত বড়ো হয়ে ওঠে , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । সাধারণ মানুষ যখন অনেক বেশি শোষণের শিকার হয় , তখন স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় । আর এই সব প্রবঞ্চনা যখন দিন দিন বেড়ে যায় , তখন স্বাধীনতা মনষ্কতা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে , আর মানুষ স্বাধীনতা হারায় । — দেবাশীষ মল্লিক “
15-08-2018
আসা – যাওয়া পথের ধারে
” আসা – যাওয়া পথের ধারে অনেক ঘটনাই ঘটে । তার কিছু কিছু সুখের , আবার আবার কিছু কিছু ঘটনা দুঃখের । সুখের ঘটনায় তোমার অবদান থাক বা না থাক , দুঃখের ঘটনায় তোমার অবদান অবশ্যই আছে । তবে তা প্রত্যক্ষ্য না হয়ে পরোক্ষ ভাবেও হতে পারে । হয়তো কোনো কোনো ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে যাই বলেই তা ঘটে । হয়তো যে ঘটনার সাথে তোমার সরাসরি কোনো যোগ নাই , তাই তুমি এড়িয়ে যাও । এই এড়িয়ে যাওয়াটাই দ্বায়িত্বহীনতা । কিন্তু এমনোতো হতেই পারে , তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা তোমার সাথে ঘটলো । তখন তুমি চরম ভাবে বিপন্ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত । অথচ সেই একই রকম ঘটনা যখন আগে ঘটেছিলো তখন তুমি প্রতিবাদ না করে চুপ করে ছিলে । আর তাই আজ এমন ঘটনা তোমার সাথে ঘটলো । সুতরাং কোনো অঘটন ঘটলে তার প্রতিবাদ না করলে যে ভুল তুমি কোরছো তার শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে । তাই সময় থাকতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং তার ফলে তুমিও নিরাপদে থাকবে । অন্তত কিছুটা হলেও তুমি তোমার বিপদের সময় অন্যকেও পাশে পাবে । আবার এমনও তো হতে পারে তোমার বিপদকে অন্য কেউ রুখে দেবে । কেবল মাত্র স্বার্থপরের মত বাঁচলে সমাজ এবং সভ্যতা তোমাকে ক্ষমা করবেনা । কিছুতেই তুমি ক্ষমা পাবেনা । সুতরাং নিজের সামাজিক দ্বায়িত্বকে অবশ্যই পালন করতে হবে । তবেই বাঁচবে তুমি , বাঁচবে সমাজ ব্যবস্থা , নিরাপদ হবে দেশ । সমাজের দশ জনের দুজন খারাপ । আর বাকি আট জনের মধ্যে দুজন যখন অন্যায় দেখে চুপ করে থাকে , তখন অন্যায় বেড়ে চলে , আর সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে । মনে রাখা দরকার তুমি যেমনই হও আর যেই হও তোমাকে সমাজের মধ্যেই বসবাস করতে হবে । আইন করে অধিকাংশ অন্যায় বন্ধ করা যায় না । কিন্তু সচেতন হলে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হলে অনেক অন্যায়কে রুখে দেয়া যায় । সুতরাং সবাই যদি প্রতিবাদি হয় কেবল মাত্র তখনই অন্যায়কে রুখে দেয়া যায় । — দেবাশীষ মল্লিক “
16-08-2018